যেসকল ব্যাক্তি বাংলাদেশী নাগরিক না হওয়া সত্বেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন তাদের সম্মানার্থে বাংলাদেশ সরকার "মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা" -এ ভূষিত করেন ১২৯জন আন্তর্জাতিক নাগরিক ও সংস্থাকে। যার মধ্যে ৪৭ জন ভারতীয় ব্যাক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠান, ১১জন রাশিয়ান, ২২জন মার্কিন, ১৪জন ব্রিটিশ ব্যাক্তিত্ব ও সংস্থা, ৪জন জাপানিজ, ৪জন জার্মান এছাড়াও নেপাল, ভিয়েতনাম সহ আরও ভিন্ন ভিন্ন দেশের নাগরিক ও সংস্থা।
সায়মন ড্রিং
মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম বিদেশী সাংবাদিক যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরী করে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেন পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতা, নৃশংসতা ও গণহত্যার চিত্র তিনি হলেন ডেইলি টেলিগ্রাফের সাংবাদিক সায়মন ড্রিং। ইংল্যান্ডের নরফোক এলাকায় জন্ম নেয়া সায়মন ড্রিং ছিলেন ২৫শে মার্চের হত্যাযজ্ঞ শুরু করার প্রাক্কালে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বন্দী বিদেশী সাংবাদিকদেরকে একজন। ঢাকার সংবাদ ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকাকে সাংবাদিকশূণ্য করে পরদিন সবাইকে বিমানবন্দরে নিয়ে তুলে দেওয়া হয় বিমানে।
সায়মন ড্রিং
মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম বিদেশী সাংবাদিক যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরী করে সারা বিশ্বকে জানিয়ে দেন পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতা, নৃশংসতা ও গণহত্যার চিত্র তিনি হলেন ডেইলি টেলিগ্রাফের সাংবাদিক সায়মন ড্রিং। ইংল্যান্ডের নরফোক এলাকায় জন্ম নেয়া সায়মন ড্রিং ছিলেন ২৫শে মার্চের হত্যাযজ্ঞ শুরু করার প্রাক্কালে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বন্দী বিদেশী সাংবাদিকদেরকে একজন। ঢাকার সংবাদ ধামাচাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকাকে সাংবাদিকশূণ্য করে পরদিন সবাইকে বিমানবন্দরে নিয়ে তুলে দেওয়া হয় বিমানে।
কিন্তু হোটেলে লুকিয়ে থাকা সায়মন পরদিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ কারফিউ উঠে গেলে হোটেল কর্মচারীদের সহযোগিতায় ছোট্ট একটি মোটরযানে করে ঘুরে বেড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, রাজারবাগ পুলিশ ব্যারাক এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা এবং প্রত্যক্ষ চিত্র তুলে আনেন তিনি তাঁর প্রতিবেদনে। ৩০শে মার্চ "ট্যাঙ্কস ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান" শিরোনামে লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া এই প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে। এর জন্যে সেবছর তিনি ইউকে রিপোর্টার অফ দ্যা ইয়ার ভূষিত হন। এছাড়াও তূর্কী ও ইরানী গৃহযুদ্ধ এ সাংবাদিকতার জন্য তিনি নানা আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হন।
১৯৯৭সালে একুশে টিভিতে যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বর্তমানে যমুনা টিভিতে প্রধান সম্প্রচার অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।