পাশের বাসার আন্টি প্রতিদিন আমাকে তাদের বাসায় যেতে বলতো। আমাকে খুব আদরও করে বটে। কিন্তু আমি ভাবতাম আন্টি আমাকে এমন ভাবে আদর করে যে আমার কাছে মনে হয় তার ছেলে মেয়ে থেকেও আমাকে বেশি ভালবাসে। আংকেল চাকরি করে বড় একটা মান্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে সেও আমাকে খুব পছন্দ করে। তাদের কাছে থেকে ভালবাসা পাওয়া আমার কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার। কিছু দিন আগে আমি আন্টিকে বলি আন্টি আমি কাল বাড়িতে যাবো। সে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো কি জানি আমাকে ধরে এভাবে কাঁদতে দেখে আমার নিজেও খারাপ লাগছিল । তারপর বাড়িতে গেলাম খুব একটা বেশি দিন বাড়িতে গিয়ে থাকতে পারিনি।আবার চলে আসতে হলে আপন টানে। আসার সময় আন্টির বাসায় গিয়ে বলে আসলাম আন্টি আমি চলে আসছি। আন্টি তো আমাকে দেখে খুব খুশি এমন মনে হলো যে, যেন তার ছেলে ফিরে এসেছে। ইচ্ছে ছিল বাহির থেকে বলে আমার বাসায় চলে আসবো। কিন্তু আন্টি আমাকে বলে ভিতরে এসে টেবিলে বসো তোমার আংকেল আসলে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাসায় যাবে।কি আর করা আন্টির শাসন মনে হলো আমার মায়ের মত তাই কিছু না বলে বাসায় বসে টিভি দেখতে থাকি। কিছুক্ষন পর আংকেল এসে আমাকে বাসায় দেখে সে খুব খুশি। আমি আসছি বলে খাবারের আয়োজনও ছিল বেশ ভাল। খাবারের টেবিলে বসে আন্টির কান্নাকাটি দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আংকেল বলে সৌরভ আমরা কেন তোমাকে এত আদর করি বা পছন্দ করি কারণ ঠিক তোমার মত হাস্যোজ্জল আমার একটা ছেলে ছিল কিন্তু কিছুদিন আগে রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে। শুনে তাদের শান্তনা দেয়ার মত ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু কিভাবে এক্সিডেন্ট করেছিল। একমাত্র সন্তান আমার অতিরিক্ত আদর আর ভালবাসার কারণে আজ আমার এই অবস্থা। যখন যা চাই তো, তাই দিতাম। কোন কিছুতে না করতাম না। আমাদের অতিরিক্ত আদরে যে ছেলেটা নেশায় আসক্ত হয়ে পরবে তা আমরা বুঝতে পারি নাই। সেই নেশা আজ আমাদের জীবনটা এলো মেলো করে দিয়ে গেলো । তাই নেশাকে না বলুন নিজে বাঁচুন, পরিবারকে বাঁচান।
Because life is Beautiful.
Because life is Beautiful.