রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠতাম তোমাকে দেখবো বলে। কিন্তু কেন জানি দুই জনের দেখা খুব কম সময়েই হতো। মাঝে মধ্যে যখন দেখা হতো তুমি শুধু চেয়ে থাকতে কিছু বলতে না। আমিও তাকে দেখতাম কিছু বলতাম না, কি জানি যদি সে আমাকে ভুল বুঝে তাই। হঠাৎ একদিন রাস্তায় আমাকে একা পেয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ায় আর বলে তুমি আমাকে কিছু বলবে না নাকি...! আমি বললাম , আমি তোমাকে কি বলবো ? ঠিক আছে তোমাকে কিছু বলতে হবে না । মনে হলো সে খুব কষ্ট পেয়েছে কিছু না বলে চলে গেলো। তারপর প্রায় অনেক দিন তার সাথে আমার দেখা হয় না। আমার তাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করে, কেন জানি, তার প্রতি আমার একটা মায়া জন্মে গেলো। তাকে দেখার জন্য তার বাড়ির পাশের মাঠে খেলাধুলা করতাম। থাকে দেখি বিকেল বেলা একটা চিপস্ এর প্যাকেট নিয়ে বাড়ির সামনে হাঁটতেছে আর চিপস খাচ্ছে। আমি তাকে দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। মনের অজান্তে তাকে ভালবেসে ফেলেছি। তার কিছু দিন পর আমার এক বন্ধু আমাকে বলে কিরে উর্বশী ( কাল্পনিক নাম ) তো তার মামার বাড়ি চলে গেছে সেখানে একটা স্কুলে নাকি ভর্তি হবে, তার মা বাবা তাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। শুনে খুব কষ্ট পেলাম কিন্তু বন্ধুকে বুঝতে দেই নি। একটা মৃদু হাসি দিয়ে বন্ধুকে বললাম তাতে আমার কি হয়েছে....! সে বলল তোর তো কিছু হবে না জানি, কিন্তু সে তোকে মনে মনে অনেক ভালোবাসতো যা সে কোন দিন প্রকাশ করতে পারে নাই। আমি মনে মনে বলতে থাকলাম আমিও তো তাকে ভালবাসি কিন্তু তাকে বলতে পারি নাই আমার ভালবাসার কথাটা । পড়ার টেবিলে বসলে তার কথা খুব মনে হয়। অনেক দিন হয়ে গেল তার কোন খবর নাই, প্রায় ১ বছর পর বাড়িতে আসে মা বাবাকে দেখতে। বন্ধু ফোন করে বলে কিরে উর্বশীর মত কাকে জানি দেখলাম রিক্সা করে যেতে উর্বশীদের বাড়ির দিকে ।চিন্তা করলাম, যে করেই হোক তার সাথে আমার দেখা করতে হবে। আর ভাবতে থাকি ওকি আমার কথা মনে করে, নাকি আমাকে ভুলে গেছে......! বাকি অংশ ২য় পর্ব