কিছু বেসিক লেভেলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন- উত্তর যা আপনাদের জেনে রাখা উচিত।


১। বিদ্যুৎ কি? কত প্রকার এবং কি কি?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা আলো, শব্দ,
গতি এবং রূপান্তরিত শক্তি ইত্যাদি উৎপন্ন করে বিভিন্ন
বাস্তব কাজ সমাধা করে।
বিদ্যুৎ ২(দুই) প্রকার। (i) স্থির বিদ্যুৎ (ii) চল বিদ্যুৎ
২। কারেন্ট কি? কত প্রকার এবং কি কি?
উত্তরঃ পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ
কোন নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট
বলে। কারেন্টের প্রতীক I (আই) এবং একক
Ampere (অ্যাম্পিয়ার), সংক্ষেপে ‘A’ লেখা হয় ।
কারেন্ট পরিমাপের যন্ত্রের নাম Ampere Meter
(অ্যাম্পিয়ার মিটার)।
কারেন্ট ২(দুই) প্রকার। (i) AC (এসি)(Alternative
Current) কারেন্ট (ii) DC (ডিসি) কারেন্ট (Direct
Current)
৩। অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন পরিবাহীর যে কোন অংশের মধ্য
দিয়ে এক কুলাম্ব চার্জ এক সেকেন্ড সময় ধরে
প্রবাহিত হলে উক্ত পরিমান চার্জকে এক অ্যাম্পিয়ার
বলে। ১ কুলাম্ব = 628×1016 ইলেকট্রন চার্জ।
৪। ভোল্টেজ কি? ভোল্টেজ কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ পরিবাহির পরমানুগুলোর ইলেকট্রনসমূহকে
স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন
তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে।
ভোল্টজ এর প্রতীক V(ভি) এবং একক Volt
ভোল্ট)। ভোল্টেজ পরিমাপের যন্ত্রের নাম
Volt Meter(ভোল্ট মিটার)।
পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স ও এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত
কারেন্ট এর গুণফল হল ভোল্টেজ।
অর্থাৎ V = IR [ভোল্টেজ = কারেন্ট X
রেজিস্ট্যান্স]
৫। রেজিস্ট্যান্স কি?
উত্তরঃ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময়
পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা
বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।
রেজিস্ট্যান্স’এর প্রতীক R (আর) এবং একক Ohm
(ওহম)।
৬। Capacitance (ক্যাপাসিট্যান্স) কি? এর প্রতীক এবং
একক কি?
উত্তরঃ ক্যাপাসিটরের প্লেটগুলোর মধ্যে কোন
বিভব পার্থক্য থাকলে প্লেটগুলো বৈদ্যুতিক শক্তি
সঞ্চয় করে রাখে (অর্থাৎ চার্জ ধরে রাখে)।
ক্যাপাসিটরের এই ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যকে ক্যাপাসিট্যান্স
(Capacitance) বলে। ক্যাপাসিট্যান্স এর প্রতীক C
(সি) এবং এর একক F (Farad) বা µF (Micro Farad)।
পরিমাপের যন্ত্র Ohm মিটার বা ক্যাপাসিট্যান্স মিটার ।
৭। Inductance (ইন্ডাকট্যান্স) কি ? এর প্রতীক এবং
একক কি?
উত্তরঃ এটি কয়েলের এমন একটি বিশেষ ধর্ম যা
কয়েলে প্রবাহিত কারেন্টে-এর হ্রাস বা বৃদ্ধিতে বাধা
প্রদান করে। ইন্ডাকট্যান্স’এর প্রতীক L এবং এর
একক Henry ।
৮। Conductor (কন্ডাকটর) বা পরিবাহী কি?
উত্তরঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে কারেন্ট চলাচল
করতে পারে তাদের Conductor বা পরিবাহী বলে।
যেমনঃ সোনা, রূপা, তামা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম।
৯। Insulator (ইন্সুলেটর) বা অপরিবাহী কি?
উত্তরঃ যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে সরাসরি
কারেন্ট চলাচল করতে পারে না তাদের Insulator বা
অপরিবাহী বলে । যেমনঃ প্লাষ্টিক, রাবার ইত্যাদি।
১০। Semi-Conductor (সেমি-কন্ডাকটর) বা
অর্ধপরিবাহী কি?
উত্তরঃ যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বেশি নয়
সামান্য পরিমানে বিদ্যুৎ চলাচল করে অর্থাৎ অবস্থা
ভেদে কখনো বিদ্যুৎ চলাচল করে আবার চলাচল
করেনা তাদের Semi–Conductor বা অর্ধপরিবাহী
বলে। যেমনঃ জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।
১১। Power (পাওয়ার) বা ক্ষমতা কি?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের হারকে বৈদ্যুতিক
ক্ষমতা বা Power (পাওয়ার) বলে। সার্কিটের
ভোল্টেজ ও এম্পিয়ার এর গুণফল হিসাবে Power
(পাওয়ার) পাওয়া যায়। পাওয়ার-এর একক Watt (ওয়াট) বা Kilo
Watt (কিলো ওয়াট) ।
অর্থাৎ P = VI [পাওয়ার = ভোল্টেজ X কারেন্ট]
১২। Energy (এনার্জি) বা শক্তি কি?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বা Power কোন সার্কিটে যত
সময় কাজ করে পাওয়ারের সাথে উক্ত সময়ের
গুণফলকে বৈদ্যুতিক শক্তি বা Energy বলে। Energy-
রএকক Watt-hour বা Kilowatt-hour ।
অর্থাৎ Energy, W=P×T [P = Power , T = Time]
১৩। বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক কি?
উত্তরঃ একাধিক সরল সার্কিট উপাদান পরস্পর যুক্ত হয়ে
যে সার্কিট হয় তাকে বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক বলে।
১৪। বৈদ্যুতিক সার্কিট কি? বৈদ্যুতিক সার্কিট কত প্রকার এবং
কি কি?
উত্তরঃ বিদ্যুৎ’এর উৎস, পরিবাহী, নিয়ন্ত্রন যন্ত্র,
ব্যবহারযন্ত্র, রক্ষণযন্ত্র সমন্বয়ে এমন একটি পথ যার
মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে তাকে
সার্কিট বা বর্তনী বলে।
সার্কিটের উপাদান সমুহের সংযোগের ভিত্তিতে
সার্কিট তিন প্রকার। যথাঃ
(i) সিরিজ সার্কিট (Series Ckt)
(ii) প্যারালাল সার্কিট (Parallel Ckt)
(iii) মিশ্র সার্কিট (Mixed Ckt)
১৫. বৈদ্যুতিক সার্কিটে কি কি প্রয়োজনীয় উপাদান
থাকা আবশ্যক?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক সার্কিটে নিচের পাঁচটি প্রয়োজনীয়
উপাদান আবশ্যক। যথাঃ
(i) উৎস (Source) যেমনঃ ব্যাটারী অথবা
জেনারেটর।
(ii) পরিবাহী (Conductor) যেমনঃ তামা অথবা এলুমিনিয়াম
তার।
(iii) নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (Controlling device) যেমনঃ সুইচ।
(iv) ব্যবহার যন্ত্র (Consuming device) যেমনঃ বাতি,
পাখা।
(v) রক্ষন যন্ত্র (Productive device) যেমনঃ ফিউজ,
ব্লেকার।
১৬। সার্কিট ডায়াগ্রাম কি?
উত্তরঃ সার্কিট ডায়াগ্রাম হল সার্কিটের বিভিন্ন
উপকরনের চিহ্ন সম্বলিত এমন একটি চিত্র রূপ যা
দেখে এর উপকরণগুলো কিভাবে পরস্পর যুক্ত
রয়েছে তা বুঝা যায় এবং এদের মান সংক্ষেপে
ডায়াগ্রামে উল্ল্যেখ থাকে।
১৭। সিরিজ সার্কিট -এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
উত্তরঃ দুই বা ততোধিক রেজিস্টর বা লোড একের
পর এক যদি এমন ভাবে যুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট
প্রবাহের একটি মাত্র পথ থাকে, তবে তাকে সিরিজ
সার্কিট বলে।
সিরিজ সার্কিট -এর বৈশিষ্ট্যঃ
(i) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত সব লোড বা রেজিস্টর’এর
মধ্য দিয়ে একই পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ I=
I1+I2+I3+——–+In
(ii) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি রেজিস্টার বা
লোডের ভোল্টেজ ড্রপসমূহের যোগফল
সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের সমান।
অর্থৎ V=V1+V2+V3+———+Vn
(iii) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত রেজিস্টার বা লোড
সমূহের রেজিস্ট্যান্সগুলোর যোগফল মোট
রেজিস্ট্যান্স (সার্কিটের) সমান। অর্থাৎ
R=R1+R2+R3+——–+Rn
১৮। প্যারালাল সার্কিট কি? প্যারালাল সার্কিট-এর
বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
উত্তরঃ একাধিক রেজিস্টর বা লোড প্রতিটিকে
বৈদ্যুতিক উৎসের আড়াআড়িতে এমনভাবে সংযুক্ত করা
হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ বিদ্যমান
থাকে তবে তাকে প্যারালাল সার্কিট বলে।
প্যারালাল সার্কিট-এর বৈশিষ্ট্যঃ
(i) প্যারালাল সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি লোড বা
রেজিস্টর এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ ড্রপ
সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজ এর সমান। অর্থাৎ
1/R=1/R1+1/R2+1/R3+——–+1/Rn
(ii) প্যারালাল সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি রেজিস্টর এর মান
উল্টিয়ে যোগ করলে যোগফল সমতুল্য
(সার্কিটের) রেজিস্ট্যান্সের উল্টানোমানের সমান।
অর্থাৎ
১৯। সাইকেল কাহাকে বলে?
উত্তরঃ একটি পরিবাহী একটি উত্তর মেরু এবং একটি
দক্ষিন মেরুর মাঝখানে বৃত্তাকারে একটি পথ যদি
একবার পরেক্রমন করে তবে একটি ভোল্টেজ
তরঙ্গের সৃষ্টি হয় । এই তরঙ্গটিকে সাইকেল বলে।
২০। অল্টারনেশন কাহাকে বলে?
উত্তরঃ ভোল্টেজ তরঙ্গের অর্ধাংশকে
অল্টারনেশন বলে।
২১। ফ্রিকুয়েন্সী (Frequency) কাহাকে বলে?
উত্তরঃ এক সেকেন্ড সময়ে যতগুলো সাইকেল
সম্পন্ন হয় তাকে ফ্রিকুয়েন্সী বলে।
এর প্রতীক f এবং একক সাইকেল/সেকেন্ড (C/S)
২২। পিরিয়ড (Period) কাহাকে বলে?
উত্তরঃ এক সাইকেল সম্পন্ন হতে যে সময়ের
প্রয়োজন হয় তাকে পিরিয়ড বলে । এর প্রতীক T
এবং T=1/f
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন