নিজের সাফল্যের পথকে সুগম করতে চাইলে নিজের উপর বিনিয়োগ করতে হবে। এই হিসাব না বুঝার কারণে আমরা গরীব জাতি। আমরা অংকে অনেক কাঁচা, জীবনের হিসাবেও তাই কাঁচা।
একজন যদি টাকা বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে নিশ্চয়ই সে এমন জায়গায় টাকা বিনিয়োগ করতে চাইবে যেখান থেকে মুনাফা বেশি আসে।
আপনি যদি ব্যাংকে টাকা জমিয়ে সুদ খান (হারাম) তাহলে আপনি বড়জোর ৫% মুনাফা পাবেন। আপনি যদি শেয়ার মার্কেটে টাকা ইনভেস্ট করেন ধরে নেয়া হয় ৫০০% মুনাফা হবে বড়জোর, মানে টাকা ৫ গুন।
আপনার টাকার সবচেয়ে ভালো প্রয়োগ আপনার থেকে ভালো কেউ তো করবে না। কেউ যদি আপনার হয়ে মুনাফা করে তাহলে আপনাকে কিছু ভাগ দিবে পুরোটা দিবে না। কিন্তু আপনি যদি নিজের উপর বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনি পুরোটাই নিজে নিতে পারছেন।
চিন্তা করে দেখুন টাকা ১০ গুন বা ১০০ গুন করার মত বিনিয়োগ কি হতে পারে। আপনি যদি ২০,০০০ টাকা খরচ করে এমন কিছু দক্ষতা অর্জন করতে পারেন যেটা আপনাকে প্রতিমাসে অধিক আয় করতে সাহায্য করবে তাহলে কেমন হয়। আপনি ২০,০০০ টাকা খরচ করে যদি ২,০০,০০০ টাকা আয় করতে পারেন তাহলে আপনি টাকা ১০ গুন করলেন। এর থেকে বেশি কি সম্ভব?
আর এটা তো মোটামুটি নিশ্চিত বিনিয়োগ। লসের কোন সম্ভাবনা নেই। সারা জীবনের জন্য চিরস্থায়ী মুনাফা। কেউ নিয়ে যেতে পারবে না, চুরি করতে পারবে না, কমেও যাবে না, দিন দিন খালি বাড়তেই থাকবে।
জমি কিনে যারা টাকা ১০ গুন করেন তাদের থেকেও ভালো লাভ। কারণ এখানে ১০ গুন হল ন্যূনতম মুনাফা, বরং ১০০ গুন, ১০০০ গুন হবার সম্ভাবনাই বেশি।
আর এটা কাগজের হিসাব যে নয় আমি নিজেই বাস্তব প্রমাণ পেয়েই বলছি যে এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয় যে আপনি যদি কোন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে সেটা অর্জন করতে আপনার যা খরচ হয়েছে আপনি তার থেকে ১০ বা ১০০ গুন অবশ্যই ২-৩ বছরের মধ্যে আয় করতে সক্ষম হবেন। এখানে একটাই সমস্যা হতে পারে যদি আপনি টাকা দিয়ে মনোযোগ না দেন। দক্ষতা সঠিক ভাবে অর্জন করতে সক্ষম হলে এই ফর্মুলা অবশ্যই কাজ করবে।