১) কোন কোড লিখা শুরু করার আগে, খাতা কলম নিয়ে ৫ মিনিট চিন্তা করুন যে আপনি কিভাবে কোডটি করবেন। মনে হতে পারে এটা আর এমন কি, কিন্তু আসলে এটা আমরা কেউ তেমন করি না। যদি আপনি এখন থেকে প্রতিটি কোড লিখতে বসার আগে ৫ মিনিট খাতা কলম নিয়ে বসেন তাহলে আমার কথার সত্যতা বুঝতে পারবেন। কারণ তখন বুঝবেন যে এটা আপনি আসলে কখনই করতেন না। আপনি পার্থক্য অনুভব করবেন। তবে এটা অভ্যাস করা কঠিন। কয়েকবার করার পর দেখবেন আর করতে ইচ্ছা করবে না। তবে এটা রপ্ত করা জরুরী।
২) একবারে বেশি কোড না লিখে কয়েক লাইন লিখে, সেটা কাজ করছে কিনা চেক করে আবার সামনে আগান। এটাকে অনেকে অযথা কম্পাইল ও ডিবাগে সময় নষ্ট মনে করতে পারেন। কিন্তু আসলে দেখা যায় বেশি কোড একবারে লিখে কেন কাজ করছে না বের করতে আরও বেশি সময় ডিবাগ করা লাগে। আর এটা না করলে অনেক সময় একদম নতুন করে কোড লেখার প্রয়োজন পরে, অথবা একটা জগাখিচুড়ি মার্কা কোড তৈরি হয়।
৩) IDE র ডিবাগ অপশনগুলো ভালোভাবে রপ্ত করুন। আমরা অনেক নামিদামি IDE তে কোড করি। সেখানে ডিবাগ করার জন্য অনেক ভালো ভালো অপশন আছে, কিন্তু খুব কম মানুষ সেগুলোর ব্যাবহার জানে। এগুলো ব্যাবহার করতে পারলে খুব কম সময়ে কোডের ভুল বের করা যায়। যারা নতুন তারা সাধারণত নিজের কোডের ভুল কিভাবে বের করবেন এটা বুঝতে না পারার কারণে কোডিং অপছন্দ করেন।
৪) ভার্শন কন্ট্রোল ব্যাবহার করে কোড লিখুন। অল্প কোড হলেও যদি আপনি ভার্শন কন্ট্রোলে আপনার কোড নিয়ন্ত্রণ করেন তাহলে আপনি অনেক সময় নষ্ট করা থেকে বাঁচতে পারবেন। কোন ভুল হলে আগে কি লিখেছেন সেটা দেখতে পারবেন। আর আগের কোড থেকে সব সময় অনেক কিছু কাজে লাগে। কিন্তু আমরা আগের কোড হারিয়ে ফেলি কিছু দিন পর। ভার্সন কন্ট্রোল ব্যাবহার করলে কোড অযথা হারিয়ে ফেলার হাত থেকে বাঁচা যায়। এতে আপনার কোডের সংগ্রহ বাড়তে থাকবে।
৫) নিজের কোডের লাইব্রেরী তৈরি করুন। আমরা যখন এক কাজ বার বার করতে থাকি তখন আমরা নতুন কিছু শিখার সময় হারাতে থাকি। তাই আপনি যদি আপনার কার্যকর কোডের লাইব্রেরী তৈরি করেন তাহলে একদম শুরু থেকে আর সেগুলো কোড করা লাগে না। মনে করুন আপনি ইমেজ রিসাইজ করার জন্য বা ইমেইল পাঠানোর জন্য যদি একবার কোড করেন, এটা পরে আবার শুরু থেকে লেখার কোন মানে হয় না। এটা যদি আপনি কোন লাইব্রেরীর মধ্যে সংগ্রহ করে রাখেন তাহলে ভবিষ্যতে এই কোড ব্যাবহার করতে পারবেন আর দরকার পরলে দেখেও নিতে পারবেন। সব কিছু মুখস্থ রাখা প্রোগ্রামারের কাজ নয়।