যাদের কমার্স পড়া অনেক দিনের স্বপ্ন হয়ে থাকে। কিন্তু স্বপ্নের কমার্স তাদেরকে কতটুকু স্বপ্নপূরণ করে দিতে পারে।
যারা কামর্সে পড়ছেন, পড়বেন বা পড়া শেষ করেছেন তাদের সুবিধা গুলো দেখেন।
ডাক্তারদের জন্য যদি আলাদা বিসিএস দিতে হয় তবে ব্যাংক জব শুধু কমার্সের স্টুডেন্টদের জন্য রাখা এবং ক্যাডারে অন্তভুর্ক্ত করা উচিৎ ছিল।
কমার্সে পড়ে জীবন সবচেয়ে বড় ভুল করছি এখন বুঝতে পারছি। আমাদের চাকরির পোস্টে সবাই আবেদন করতে পারে, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার সবাই আবেদন করতে পারে কিন্তু আমরা ওদের পোস্ট আবেদন করতে পারি না।
আর সেটা করা সম্ভবও না । কিন্তু একজন ইন্জিনিয়ার কিংবা ডাক্তার ব্যাংক এ আবেদন করতে পারে।
বিসিএস এ টেকনিক্যাল ও সাধারণ
দুটোতেই পারে। কমার্স মূলত অপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কমার্সের কোন কিছুই চাকরি পরীক্ষায় আসে না। অথচ বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্টুডেন্ট কমার্সের। ব্যাংক এর ১০০ মার্কের প্রিলি আর
২০০ মার্কের রিটেনেও ১ টি নাম্বার ও
কমার্সের সাবজেক্ট থেকে আসে না। আর কমার্সের বিষয় প্রাইভেট পড়তে পড়তে পড়তে জুতার তলা খয় করে কোন লাভ হয়না। আগে অনেকে বলত BBA কর
ব্যাংকে চাকুরি পাবি। ইতিহাস পড়ে কি করবে জীবনে। এখন বুঝতে পারছি ইতিহাস পড়াটাই ভাল ছিল।
অথচ আমরা সারাজীবন ব্যাংক নিয়া পড়লাম, চুড়ান্ত হিসাব মিলাইলাম। কিন্তু শেষ দেখা গেল জীবনের চুড়ান্ত হিসেবের মধ্যেই ধরা খেয়ে গেলাম। সবার সিলেবাসের সাথে পরীক্ষার প্রশ্নের একটা না একটা রিলেশন আছে কিন্তু বিবিএ এমবিএ
ব্যাকগ্রাউন্ডের কোন মিল পেলামনা। প্রাইভেট সেক্টরেও একই হাল অবস্থা প্রায়।
এখন আর কাউকে কমার্স নিতে
বলি না। যদি কেউ বলে ভার্সিটিতে
একাউন্টিং পাইছি তখন তাকে বলি ইতিহাস নিয়া পড় জীবনে কাজে আসবে। সারা বছর চাকরির পড়া পড়বি আর একাডেমিক পড়া পরীক্ষার
আগের দিন পড়বে তাতেই চলবে। দিনশেষে তুই হিরো আর
বিবিএ এমবিএ ওয়ালারা জিরো পাবে (সরকারি চাকরির প্রস্তুতির ক্ষেত্রে)।
আর সারা বছর প্রাইভেট পড়ার ঝামেলা নাই। অনেক আবার বলবে পারে পারেন না বলে এই কথা এগুলো বলছেন। আমরা তো সারা বছরই ডেবিট ক্রেডিট
দিয়ে ব্যস্ত ছিলাম ইভেন ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার সময়ও আমাদের কমার্সের সাবজেক্ট পড়তে হয়েছে। যেখানে অন্যরা জবের পড়াগুলো পড়েছে। আপনার কেউ ইংরেজি কেউ ম্যাথ, কেউ বাংলা, কেউ ইতিহাস নিয়ে পড়েছেন, তার সাথে জবের পড়া।
পাঁচ ছয় বছর পর আপনাদের ধরা কি
আমাদের পক্ষে এত সহজ বিষয় ? ইতিহাসের ছাত্র হয় ব্যাংকার আর বিবিএ এর ছাত্র হয় অফিস সহকারী! সিংহভাগ স্টুডেন্ট এর জন্য সুযোগ নাই। যেহেতু স্টুডেন্ট ৫০% এর উপরে
সেহেতু আমাদের প্রায়োরিটি দিয়ে সার্কুলার দেওয়া উচিৎ। ব্যাংক খাতে লক্ষ কোটি খেলাপী ঋণ একসময় হাজার কোটি হবে যদি না কমার্সের স্টুডেন্ট নিয়োগ না দেওয়া হয়! সরকারি ব্যাংক এর অবস্থা দেখেন আর প্রাইভেট ব্যাংক এর অবস্থা দেখেন, প্রাইভেট এ কমার্সের স্টুডেন্ট বেশি আর সরকারি তে কম। বড়ই আশ্চর্যের দেশ বাংলাদেশ উদ্ভট সব নিয়ম কানুন! কমার্সের স্টুডেন্ট মানে রোহিঙ্গা!
এই দেশে শরনার্থী হিসেবে
থাকছি
এটাই মনে হয় অনেক। আবার দেখুন viva দিতে গেলেও
ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকে। তাহলে কি লাভ হলো কষ্ট করে প্রাইভেট পড়ে ডেবিট
ক্রেডিট নির্ণয় বোঝার কি লাভ। তারা আমাকে সাহিত্য ইতিহাস সাংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন শুরু করে দেয়। একবারও বোঝতে চায়না আমি যে একটা BBA এর ছাত্র আমাকে প্রশ্ন করলে ব্যবসা সম্পর্কে প্রশ্ন ধরতে হবে।
কমার্সে পড়ে জীবন সবচেয়ে বড় ভুল করছি এখন বুঝতে পারছি। আমাদের চাকরির পোস্টে সবাই আবেদন করতে পারে, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার সবাই আবেদন করতে পারে কিন্তু আমরা ওদের পোস্ট আবেদন করতে পারি না।
আর সেটা করা সম্ভবও না । কিন্তু একজন ইন্জিনিয়ার কিংবা ডাক্তার ব্যাংক এ আবেদন করতে পারে।
বিসিএস এ টেকনিক্যাল ও সাধারণ
দুটোতেই পারে। কমার্স মূলত অপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কমার্সের কোন কিছুই চাকরি পরীক্ষায় আসে না। অথচ বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্টুডেন্ট কমার্সের। ব্যাংক এর ১০০ মার্কের প্রিলি আর
২০০ মার্কের রিটেনেও ১ টি নাম্বার ও
কমার্সের সাবজেক্ট থেকে আসে না। আর কমার্সের বিষয় প্রাইভেট পড়তে পড়তে পড়তে জুতার তলা খয় করে কোন লাভ হয়না। আগে অনেকে বলত BBA কর
ব্যাংকে চাকুরি পাবি। ইতিহাস পড়ে কি করবে জীবনে। এখন বুঝতে পারছি ইতিহাস পড়াটাই ভাল ছিল।
অথচ আমরা সারাজীবন ব্যাংক নিয়া পড়লাম, চুড়ান্ত হিসাব মিলাইলাম। কিন্তু শেষ দেখা গেল জীবনের চুড়ান্ত হিসেবের মধ্যেই ধরা খেয়ে গেলাম। সবার সিলেবাসের সাথে পরীক্ষার প্রশ্নের একটা না একটা রিলেশন আছে কিন্তু বিবিএ এমবিএ
ব্যাকগ্রাউন্ডের কোন মিল পেলামনা। প্রাইভেট সেক্টরেও একই হাল অবস্থা প্রায়।
এখন আর কাউকে কমার্স নিতে
বলি না। যদি কেউ বলে ভার্সিটিতে
একাউন্টিং পাইছি তখন তাকে বলি ইতিহাস নিয়া পড় জীবনে কাজে আসবে। সারা বছর চাকরির পড়া পড়বি আর একাডেমিক পড়া পরীক্ষার
আগের দিন পড়বে তাতেই চলবে। দিনশেষে তুই হিরো আর
বিবিএ এমবিএ ওয়ালারা জিরো পাবে (সরকারি চাকরির প্রস্তুতির ক্ষেত্রে)।
আর সারা বছর প্রাইভেট পড়ার ঝামেলা নাই। অনেক আবার বলবে পারে পারেন না বলে এই কথা এগুলো বলছেন। আমরা তো সারা বছরই ডেবিট ক্রেডিট
দিয়ে ব্যস্ত ছিলাম ইভেন ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার সময়ও আমাদের কমার্সের সাবজেক্ট পড়তে হয়েছে। যেখানে অন্যরা জবের পড়াগুলো পড়েছে। আপনার কেউ ইংরেজি কেউ ম্যাথ, কেউ বাংলা, কেউ ইতিহাস নিয়ে পড়েছেন, তার সাথে জবের পড়া।
পাঁচ ছয় বছর পর আপনাদের ধরা কি
আমাদের পক্ষে এত সহজ বিষয় ? ইতিহাসের ছাত্র হয় ব্যাংকার আর বিবিএ এর ছাত্র হয় অফিস সহকারী! সিংহভাগ স্টুডেন্ট এর জন্য সুযোগ নাই। যেহেতু স্টুডেন্ট ৫০% এর উপরে
সেহেতু আমাদের প্রায়োরিটি দিয়ে সার্কুলার দেওয়া উচিৎ। ব্যাংক খাতে লক্ষ কোটি খেলাপী ঋণ একসময় হাজার কোটি হবে যদি না কমার্সের স্টুডেন্ট নিয়োগ না দেওয়া হয়! সরকারি ব্যাংক এর অবস্থা দেখেন আর প্রাইভেট ব্যাংক এর অবস্থা দেখেন, প্রাইভেট এ কমার্সের স্টুডেন্ট বেশি আর সরকারি তে কম। বড়ই আশ্চর্যের দেশ বাংলাদেশ উদ্ভট সব নিয়ম কানুন! কমার্সের স্টুডেন্ট মানে রোহিঙ্গা!
এই দেশে শরনার্থী হিসেবে
থাকছি
এটাই মনে হয় অনেক। আবার দেখুন viva দিতে গেলেও
ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকে। তাহলে কি লাভ হলো কষ্ট করে প্রাইভেট পড়ে ডেবিট
ক্রেডিট নির্ণয় বোঝার কি লাভ। তারা আমাকে সাহিত্য ইতিহাস সাংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন শুরু করে দেয়। একবারও বোঝতে চায়না আমি যে একটা BBA এর ছাত্র আমাকে প্রশ্ন করলে ব্যবসা সম্পর্কে প্রশ্ন ধরতে হবে।
তাই এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের দেশে ঋন খেলাপীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।